শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৩-১৯৫৫)
শক্তি চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, লেখক ও অনুবাদক, যিনি জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি হিসেবে বিবেচিত। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকের নিরুচ্চার প্রেম ও নিভৃত জীবন ভাবনার বদলে তিনি উচ্চারিত, উচ্চকিত বিস্ফোরণের মতো বাংলা কাব্যে আবির্ভূত হন। মৌলিকতার দিক থেকে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নজরুল ও সুকান্তের তুলনা চলে। ষাটের দশকে যে চারজন কবি কে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।
প্রারম্ভিক জীবন:
শক্তি চট্টোপাধ্যায় ২৫ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে ভারত) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা কমলা দেবী এবং বাবা-মামা নাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবা পেশায় একজন ড্রামা স্কুলের শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি কলকাতার দ্য কাশিমবাজার স্কুল অব ড্রামায় পড়াতেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের যখন বয়স মাত্র চার বছর, তখন সেই সময় তাঁর বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর দাদু তাদের সংসারের হাল সামলান এবং একজন অভিভাবক রূপে অবতীর্ণ হন।
শিক্ষাজীবন:
মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের বাড়িতে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সে সময় দাদামশায়ের মৃত্যুর পর ১৯৪৮ সালে কলকাতার বাজারে আসেন এবং সেখানে একটি স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখানেই স্কুলের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে তিনি প্রথম মার্কসবাদ সম্পর্কে জানতে পারেন। ১৯৫১ সালে শক্তি চট্টোপাধ্যায় ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং সিটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। একই সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে বাংলা অনার্স এ ভর্তি হন। দারিদ্র্যের কারণে শক্তি স্নাতক পাঠ অর্ধসমাপ্ত রেখে প্রেসিডেন্সি কলেজ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বুদ্ধদেব বসু তাঁকে নবপ্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য কোর্সে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের কোর্সে ভর্তি হন, কিন্তু এখানেও তিনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি।১৯৫৮ সালে শক্তি চট্টোপাধ্যায় কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পর্কের ইতি টানেন।
কর্মজীবন:
শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোনো পেশায় দীর্ঘস্থায়ী ছিলেন না। একসময় তিনি দোকানের সহকারি হিসেবে সাক্সবি ফার্মা লিমিটেড স্টোরে কাজ করেছেন এবং পরে ভবানীপুর টিউটোরিয়াল হোমের হ্যারিসন রোড শাখায় শিক্ষকতাও করেছেন। কিছুদিন ব্যবসা করার চেষ্টাও করেছেন । কিন্তু তাতে সফল হতে না পেরে একটি মোটর কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কাজেই তিনি ঠিক মন বসাতে পারেননি। ‘ক্লারিয়ন’ বিজ্ঞাপন কোম্পানির কপিরাইটার হিসেবে, ‘ভারবি’ প্রকাশনায় কাজ করে খ্যাতি লাভ করেন। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের অন্যতম কবিদের মুখপত্র ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার তিনি ছিলেন অন্যতম প্রতিভা। ১৯৭০-৯৪ এই সময় তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি করেছেন। একসময় ‘রূপচাঁদ পক্ষী’ ছদ্মনামে কলকাতা নিয়ে ফিচার করেছেন। শেষদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপকের কাজ করেছেন।
বৈবাহিক জীবন:
১৯৬৫ সালে এক আড্ডায় মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায় এর সাথে তাঁর আলাপ ঘটে এবং পরে সেই আলাপ এতটাই নিবিড় হয়ে ওঠে যে পরবর্তীকালে শক্তি চট্টোপাধ্যায় মীনাক্ষী দেবীকে বিয়ে করে ফেলেন, যিনি একজন ভারতীয় লেখক। তাঁদের দুজনের একটা কন্যা সন্তান হয় যার নাম তিতি চট্টোপাধ্যায়।
সাহিত্যিক জীবন:
১৯৫৬ সালে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘যম’ কবিতাটি। এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর তিনি তার ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং এই পত্রিকার অন্যতম প্রধান কবি হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় পঞ্চাশের দশকের একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি কবিতাকে ‘পদ্য’ বলতেন । ‘স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার’ নামে তিনি গদ্য চর্চাও করেছেন। তাঁর প্রথম ছোটোগল্প 'নিরুপমের দুঃখ' । এরপর ১৯৬১ সালে তাঁর ‘কুয়োতলা’ উপন্যাস এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ’ প্রকাশিত হয়। প্রকৃতির পাশাপাশি প্রেম, নারী এবং মানুষকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। তাঁর জীবন ছিল বেপরোয়া এবং বন্ধনহীন। যুগের যন্ত্রণাকে গায়ে মেখে তিনি অস্থিরতায় ছটফট করেছেন। ১৯৬৬ সালে কবিতা পত্রিকা ‘কবিতা সাপ্তাহিকী’ প্রকাশ করেন। তিনি সুইডেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডে গিয়েও কবিতা পাঠ করেছেন।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ’ কাব্যগ্রন্থের ‘জরাসন্ধ’ কবিতায় কবির মৌলিকতা সূচিত হয়। চঞ্চল, অস্থির এক আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে জন্মে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় নিজেও স্বভাবে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন, অথচ তাঁর এক শিশু সুলভ কোমল মন ছিল, ছিল মানুষের প্রতি, বন্ধুদের প্রতি সহমর্মিতা। তাই তাঁর কবিতাগুলিতে প্রকাশিত হয়েছে অস্থির চঞ্চল স্বভাবের এক কবি মনের প্রকাশ, সে মন পথিক মন; তাই পথ চলাতেই ছিল তাঁর আনন্দ। এই আনন্দের প্রকাশ তাঁর কবিতায়। যুগ সচেতন কবি তাঁর মনের যন্ত্রণার প্রকাশ ঘটিয়েছেন ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায়, অবনীর রূপ-কে। জীবন রসের প্রকাশে, মূল্যবোধহীন সমাজ ব্যবস্থার উদঘাটনে, মানব-চৈতন্যের অসুস্থতার প্রকাশে এবং প্রতীকী ব্যঞ্জনায় কবিতাটি তাঁর প্রতিনিধি স্থানীয় কবিতা। কবিতাটি ‘ধর্মে আছো জিরাফেও আছো’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কোনো কোনো সমালোচক এই কবিতার মধ্যে ওয়াল্টার ডি লা মেয়ারের ‘The Listeners’ এর ছায়া খুঁজেছেন। কবির গভীর জীবনাশক্তির অপরূপ কাব্যরূপ ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’ কবিতাটি। মাত্র কয়েকটি কথায় জীবনাসক্তি ও মৃত্যুচেতনাকে জীবনের চরম ও পরম সত্যকে স্বাভাবিক ও স্বচ্ছভাবেই ব্যক্ত করেছেন কবি, এই কবিতায়। ভাষা, ছন্দ, অলংকার, চিত্রকল্প কবি ভাবনাকে একটি নিটোল রসমূর্তি দান করেছে। কার্ল স্যাণ্ডবার্গ যে বলেছিলেন, “Poetry is the capture of a picture, a song, or a flair, in a deliberate prisum of words” — এই কবিতাও তাই । তাঁর কাব্য কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তাঁর কবিতার মাধুর্য আছে। ছন্দের কারণে, শব্দে শব্দে বিবাহের কারণে, বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্নের উপস্থাপনায় তাঁর কবিতায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে বৈদুর্যমণির আলো।
হাংরি আন্দোলন:
শক্তি চট্টোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলনের জনক ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে স্থিতাবস্থা ভাঙ্গার আওয়াজ তুলে ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্য-শিল্প এই ধরনের এক আন্দোলন হয়েছিল সেইসময়। সমীর রায়চৌধুরী, মলয় রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং হারাধন ধারা ওরফে দেবী রায় এই চারজন মিলে হাংরি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ১৯৬১ সালের নভেম্বর মাসে, বিহারের পাটনা শহর থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেই আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকতে পারেননি, তার একটাই মাত্র প্রধান কারণ, সেটা হল মতপার্থক্য। তিন জনের সাথে লাগাতার মতের অমিল হওয়ার জন্য তিনি এই আন্দোলন ত্যাগ করেন ১৯৬৩ সালে এবং যোগ দেন কৃত্তিবাস নামক এক সাহিত্য গোষ্ঠীতে। তিনি প্রায় ৫০টি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কৃত্তিবাসের কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নাম সাহিত্যিক মহলে একত্রে উচ্চারিত হতো, যদিও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং কৃত্তিবাস পত্রিকার ১৯৬৫ সালে সেই মনোভাব প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।
রচনাবলী:
কাব্যগ্রন্থ:
১) হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ (১৯৬১)
২) ধর্মে আছো জিরাফেও আছো (১৯৬৫)
৩) অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি, অন্ধকারে (১৯৬৬)
৪) সোনার মাছি খুন করেছি (১৯৬৭)
৫) হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান (১৯৬৯)
৬) চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৯৭০)
৭) পাড়ের কাঁথা, মাটির বাড়ি (১৯৭১)
৮) প্রভু নষ্ট হয়ে যাই (১৯৭২)
৯) সুখে আছি (১৯৭৪)
১০) ঈশ্বর থাকেন জলে (১৯৭৫)
১১) জ্বলন্ত রুমাল (১৯৭৫)
১২) অস্ত্রের গৌরবহীন একা (১৯৭৫)
১৩) ছিন্ন বিচ্ছিন্ন (১৯৭৫)
১৪) সুন্দর এখানে একা নয় (১৯৭৬)
১৫) আমি ছিঁড়ে ফেলি ছন্দ, তন্তুজাল (১৯৭৬)
১৬) কবিতার তুলো ওড়ে (১৯৭৭)
১৭) এই আমি যে পাথরে (১৯৭৭)
১৮) হেমন্ত যেখানে থাকে (১৯৭৭)
১৯) পাতাল থেকে ডাকছি (১৯৭৭)
২০) উড়ন্ত সিংহাসন (১৯৭৮)
২১) পরশুরামের কুঠার (১৯৭৮)
২২) মানুষ বড়ো কাঁদছে (১৯৭৮)
২৩) ভালোবেসে ধুলোয় নেমেছি (১৯৭৮)
২৪) ভাত নেই, পাথর রয়েছে (১৯৭৯)
২৫) আমাকে দাও কলা (১৯৮০)
২৬) আমি চলে যেতে পারি (১৯৮০)
২৭) মন্ত্রের মতন আছি স্থির (১৯৮০)
২৮) অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল (১৯৮০)
২৯) আমি এক বড়ো একা (১৯৮১)
৩০) প্রচ্ছন্ন স্বদেশ (১৯৮২)
৩১) যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো (১৯৮২)
৩২) কোথাকার তরকারি কোথায় রেখেছে (১৯৮৩)
৩৩) কক্সবাজারে সন্ধ্যা (১৯৮৪)
৩৪) সে তার প্রতিচ্ছবি (১৯৮৪)
৩৫) ও চির প্রণম্য অগ্নি (১৯৮৫)
৩৬) সন্ধ্যার সে শান্ত উপহার (১৯৮৬)
৩৭) আমাকে জাগাও (১৯৮৬)
৩৮) এই তো মর্মর মূর্তি (১৯৮৭)
৩৯) বিষের মধ্যে সমস্ত লোক (১৯৮৭)
৪০) ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফ্যালে (১৯৯১)
৪১) পাতালে টেনেছে আজ (১৯৯১)
৪২) জঙ্গল বিষাদে আছে (১৯৯৫)
৪৩) কিছু মায়া রয়ে গেলো (১৯৯৭)
৪৪) সকলে প্রত্যেকে একা (১৯৯৯)
যৌথ কাব্যগ্রন্থ:
১) তিন তরঙ্গ (১৯৬৫)
২) এখন রাখাল বাণী প্রিয়র জন্য শাশ্বত স্বীকারোক্তি (১৯৭১)
৩) যুগলবন্দী (১৯৭২)
৪) সুন্দর রহস্যময় (১৯৮০)
৫) ১০০ বছরের শ্রেষ্ঠ নিগ্রো কবিতা (১৯৮০)
কাব্য সংকলন:
১) অগ্রন্থিত শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৯০)
অনুদিত কাব্য:
১) ওমর খৈয়ামের রুবাই (১৯৬৯)
২) কালিদাসের মেঘদূত (১৯৭২)
৩) গালিবের কবিতা (১৯৭৫)
৪) পাবলো নেরুদার প্রেমের কবিতা (১৯৭৬)
৫) কুমারসম্ভব কাব্য (১৯৭৬)
৬) হাইনের প্রেমের কবিতা (১৯৭৯)
৭) লোরকার কবিতা (১৯৭৯)
৮) কহলীল জিব্রানের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৮১)
৯) প্রীতীশ নন্দীর কবিতা (১৯৮১)
১০) মায়া কোভ্স্কির শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৮১)
১১) ডুইনো এলেজি (১৯৮২)
১২) পাবলো নেরুদার শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৮৪)
১৩) শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৮৮)
১৪) আমেরিকান ইন্ডিয়ান শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯২)
ছড়া সংগ্রহ:
১) পুণ্যি পুকুর পুষ্করিণী (১৯৮২)
২) মিষ্টি কথায়, বিষ্টিতে নয় (১৯৮৫)
৩) সেরা ছড়া (১৯৯৪)
৪) বড়োর ছড়া (১৯৯৪)
গল্পগ্রন্থ:
১) হাতি ধরিয়ে নায়ার (১৯৮৬)
উপন্যাস:
১) কুয়োতলা (১৯৬১)
২) লুসি আর্মানীর হৃদয় রহস্য (১৯৬৬)
৩) হাই সোসাইটি (১৯৬৮)
৪) অবনী বাড়ি আছো (১৯৭৩)
৫) দুজন একাকী (১৯৭৪)
৬) হৃদয়পুর (১৯৭৪)
৭) আমি চলে যাচ্ছি (১৯৭৬)
৮) কিন্নর কিন্নরী (১৯৭৭)
৯) দাঁড়াবার জায়গা (১৯৮৬)
১০) বিবি কাহিনী (১৯৮৬)
প্রবন্ধ সংগ্রহ:
১) রূপকথার কলকাতা (১৯৬৫)
ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ:
১) উইক এন্ড টুরিস্ট গাইড (১৯৭২)
২) খৈরী, আমার খৈরী (১৯৭৬)
৩) চলো বেড়িয়ে আসি (প্রথম পর্ব) (১৯৭৭)
৪) চলো বেড়িয়ে আসি (দ্বিতীয় খন্ড) (১৯৮০)
৫) জঙ্গলে পাহাড়ে (১৯৮৫)
পুরস্কার:
১৯৭৫ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো'(১৯৮২) কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু:
২৩ শে মার্চ ১৯৯৫ সালে বাংলার অন্যতম প্রসিদ্ধ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ একটি উজ্জ্বল মন্তব্য করেছেন,
“কবির মাটিতে কবির মৃত্যু। এ তো খুবই অভিপ্রেত। খুবই ঐতিহাসিক। শক্তি তাহলে শেষাবধি জয়ী হয়ে থাকল। বুঝতে পারছি মৃত্যুকে সে মুখোমুখি দেখে একই গলায় বলে থাকবে, ‘তুমি কে হে ছোকরা? আমি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। আর তুমি একটা খণ্ডত' (ৎ)। ... কোন কোন মানুষ কাঁধে হাত রাখলে পৃথিবী বাসযোগ্য। সেই এক মানুষ শক্তি সম্পূর্ণ মানুষ। একেবারে স্বতন্ত্র।”
তথ্যসূত্র:
১) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস- ড. দেবেশ কুমার আচার্য্য ।
২) শক্তি চট্টোপাধ্যায়- উইকিপিডিয়া
৩) শক্তি চট্টোপাধ্যায়- Vikaspedia
৪) শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী
৫) শক্তি চট্টোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা
৬) শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গ্রন্থতালিকা - উইকিপিডিয়া ।
প্রবন্ধ: সুইটি নাথ
(প্রকাশিত: ২৭.০৬.২০২১)
There are no reviews yet.