E-Learning Info
Go to content

রাজা রামমোহন রায় (১৭১২-১৮৩৩)

জন্ম  ও প্রাথমিক জীবন
বাংলা নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ  রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে মতান্তরে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে সম্পন্ন ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন । তার  উপাধি ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির মোগল বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর তাকে রাজা উপাধি প্রদান করেন।  তার পিতার নাম রমাকান্ত এবং মাতার নাম তারিণী দেবী। তিনি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা।  রাজা রামমোহন রায়ের ছদ্মনাম ছিল  শিবপ্রসাদ রায় । তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন জরির বিচার, সম্পত্তিতে স্ত্রী লোকের অধিকার, পাশ্চাত্য শিক্ষার সম্প্রসারণ প্রভৃতি ব্যাপারে তিনি পথিকৃৎ। আধুনিক বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা--- যেকোনো প্রগতিশীল মনোভাব এর প্রথম সূচনা রামমোহন রায়ের থেকে শুরু হয়। তাকে ভারতবর্ষের  morning star of reformation বলা হয়।
শৈশব ও শিক্ষা
২২ মে ১৭৭২ সালে মতান্তরে  ১৭৭৪ সালে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত ও ব্রাহ্মণ পরিবারে। প্রপিতামহ কৃষ্ণকান্ত ফারুখশিয়ারের আমলে বাংলার সুবেদারের আমিনের কার্য করতেন। সেই সূত্রেই 'রায়' পদবীর ব্যবহার বলে অনুমান করা হয়। কৃষ্ণকান্তের কনিষ্ঠ পুত্র ব্রজবিনোদ রামমোহনের পিতামহ। পিতা রামকান্ত। রামকান্তের তিন বিবাহ। মধ্যমা পত্নী তারিণীর এক কন্যা ও দুই পুত্র: জগমোহন ও রামমোহন। এঁদের বংশ ছিল বৈষ্ণব, কিন্তু রামমোহনের মাতা ছিলেন ঘোর তান্ত্রিক ঘরের কন্যা। রামকান্ত পৈতৃক এজমালি ভদ্রাসন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী লাঙ্গুলপাড়া গ্রামে স্ব-পরিবারে উঠে যান। তার পিতা রামকান্ত রায় ছিলেন বৈষ্ণবী এবং মাতা তারিণী দেবী ছিলেন শাক্ত। পনেরো-ষোলো বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে নানা স্থানে ঘোরেন। কাশীতে ও পাটনায় কিছুকাল ছিলেন এবং নেপালে গিয়েছিলেন। এর আগে তার সঙ্গে তন্ত্রশাস্ত্রবেত্তা সুপণ্ডিত নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কারের (পরে হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী কুলাবধূত নামে পরিচিত) যোগাযোগ হয়। রামমোহনের সংস্কৃতে বুৎপত্তি, তার বেদান্তে অনুরাগ নন্দকুমারের সহযোগিতায় হয়েছিল। ব্রাহ্ম উপাসনালয় প্রতিষ্ঠায় হরিহরানন্দই তার দক্ষিণ-হস্ত ছিলেন। বারাণসী থেকে প্রথাগত সংস্কৃত শিক্ষার পর তিনি পাটনা থেকে আরবি ও পারসি ভাষা শেখেন। পরে তিনি ইংরেজি, গ্রিক ও হিব্রু ভাষাও শেখেন।
কর্ম-জীবন
তরুণ বয়সে তিনি কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন অর্থোপার্জন শুরু করেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। কলকাতায় প্রায়ই আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত অসামরিক কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করেন। এই সুযোগে ভালো করে ইংরেজি শিখে নেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজে সিভিলিয়ান কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবির সঙ্গে তার সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা হয়। কোম্পানির কাজে ডিগবির অধীনে তিনি দেওয়ানরূপে রংপুরে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তিনি দু'বার ভুটান সীমান্তে যান কোম্পানির হয়ে দৌত্যকার্যে ডিগবির সাহচর্যে তার সমস্ত নতুন চিন্তা এই সময়ের মধ্যেই পরিপক্কতা লাভ করে। ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন, এখন থেকেই প্রকাশ্যে তার সংস্কার-প্রচেষ্টার শুরু। সতীদাহ প্রথা নিবারণ রাজা রামমোহন রায়ের অমর কীর্তি । তিনি বর্ণভেদ প্রথা বহু বিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন । সম্পত্তিতে মেয়েদের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অনেক আন্দোলন করেছিলেন। ১৮২৭ সালে বৈষম্যমূলক জুরী আইন বন্ধ করার জন্য এবং কৃষকদের উপর করের বোঝা কমানোর জন্য রাজা রামমোহন রায় অনেক চেষ্টা করেন। ১৮২৩ সালে প্রেস রেগুলেশন আইন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের কাছে দরখাস্ত করেছিলেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ নবজাগরণের সূত্রপাত ঘটেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহন  সম্বন্ধে বলেছেন,
"কী রাজনীতি, কী বিদ্যাশিক্ষা, কী সমাজ, কী ভাষা, আধুনিক বঙ্গদেশে এমন কিছুই নাই রামমোহন রায় স্বহস্তে যাহার সূত্রপাত করিয়া যান নাই।'
বাংলা গদ্য ও রাজা রামমোহন রায়
রাজা রামমোহন রায় মূলত ধর্ম সংস্কার ও সমাজ চেতনার বশবর্তী হয়েই বাংলা গদ্য রচনায় এগিয়ে এসেছিলেন। বিশুদ্ধ সাহিত্য কিংবা শিল্প সৃষ্টি করা তাঁর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। শাস্ত্র-গ্রন্থ বাংলা গদ্য অনুবাদ ও সর্ব সাধারণের মধ্যে বিতরণ করে তিনি বহু্দিন থেকে  প্রচলিত ব্রাহ্মণ্য দম্ভের মূলে কুঠারাঘাত করেছিলেন। ১৮১৫-১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ এই ১৫ বছর এর মধ্যেই তাঁর বেশিরভাগ পুস্তিকা রচিত হয়েছিল। তিনি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০টি বাংলা পুস্তিকা রচনা করেছিলেন। তার পূর্বে বাংলা ভাষায় দর্শন সাহিত্য ইতিহাস ধর্ম নিয়ে কোন গ্রন্থাদি রচিত হয়নি। রামমোহন সর্বপ্রথম বাংলা গদ্য অনুবাদ আলোচনা-বিতর্ক ও মীমাংসার বাহন হিসেবে গড়ে তুলেন। কি করে বাংলা গদ্য লিখতে পড়তে হয় তাও যেন বাঙালির হাতে ধরে শিখালেন। আধুনিক মনের জটিলতাকে ফুটিয়ে তুলতে হলে আধুনিক ভাষা-বাহন প্রয়োজন —  রামমোহন সেই আধুনিক বাংলা গদ্যের অন্যতম স্রষ্টা রূপে চিরদিন অম্লান গৌরবে প্রতিষ্ঠিত থাকবেন।  যদিও রামমোহনের গদ্যে সাবলীলতা ও সরসতার একান্ত অভাব তাঁকে বিতর্ক পুস্তিকার লেখক এ পরিণত করেছে, প্রথম শ্রেণির প্রাবন্ধিকের গৌরব দিতে পারেনি। তার রচনাগুলি ছিল মূলত প্রকারধর্মী। তিনি ধর্ম সমাজ এবং সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন সেজন্য শিল্প সৃষ্টির প্রয়াস তাঁর কর্মযোগী মনে ঠাঁই পায়নি ।
তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ফারসি ভাষায় লেখা (ভূমিকা অংশ আরবিতে) "তুহফাতুল মুহাহহিদিন ।'  তার লেখা "গৌড়ীয় ব্যাকরণ বাঙালির লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়
সতীদাহ ও রামমোহন রায়
হিন্দু ধর্মে প্রচলিত সতীদাহ প্রথা নামক কুসংস্কারকে দমন করেন রাজা রামমোহন রায়।  তিনি অনেকগুলি পুস্তিকা রচনা করে সহমরণ বা সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
বেদান্ত-উপনিষদগুলি বের করবার সময়ই তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতিবিগর্হিত প্রমাণ করে পুস্তিকা লিখলেন 'প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ'।  এর প্রতিবাদে পুস্তিকা বের হল 'বিধায়ক নিষেধকের সম্বাদ'। তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুস্তিকা বের হয়। এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়। রাজা রামমোহন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সক্ষম হন এবং ১৮২৯ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সপ্তদশ বিধি আইন দ্বারা এই প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তবুও গোঁড়ারা চেষ্টা করতে লাগল যাতে পার্লামেন্টে বিষয়টি পুনর্বিবেচিত হয়। গোঁড়াদের এই প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার জন্য তিনি বিলেত যাত্রা করতে সচেষ্ট হন।
ব্রাহ্মসমাজ
রাজা রামমোহন রায় একেশ্বরবাদী তথ্যের যারা যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক মনের ধারা এক নতুন ধর্মের প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন।  ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় তিনি আত্মীয় সভা নামে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ধর্মের প্রচলিত ধর্মীয় গোঁড়ামি কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস প্রভৃতি দূর করতে ও মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটানো ই ছিল এই সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য। রাজা রামমোহন রায় এই সমিতির সভাপতি ছিলেন। যদিও এই সমিতি ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে লুপ্ত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে এই আত্মীয় সভা ব্রাহ্মসমাজ এ পরিণত হয়। ১৮২৮ সালের ২০ আগস্ট ব্রাহ্মসমাজ বা ব্রাহ্ম সভা প্রতিষ্ঠা করেন  যা বর্তমানে হিন্দু ধর্মের একটি শাখা রূপে বিবেচিত।



তাঁর রচিত গ্রন্থাবলী
১. বেদান্তসার (১৮১৫)
২. বেদান্ত গ্রন্থ(১৮১৫)
৩. উপনিষদের অনুবাদ (১৮১৫-১৯)
৪. উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের সহিত বিচার (১৮১৮)
৫. গোস্বামীর সহিত বিচার (১৮১৮)
৬. সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক নিবর্তক সম্বাদ (১৮১৮-১৯)
৭. ব্রাহ্মণ সেবধি (১৮২১)
৮. কবিতা সহিত বিচার (১৮২০)
৯. পথ্যপ্রদান (১৮২৩)
১০. সহমরণ বিষয়ক (১৮২৩)
১১. গৌড়ীয় ব্যাকরণ (১৮৩৩)
১২. ব্রহ্মসঙ্গীত (১৮২৮)
১৩. সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক নিবর্তক দ্বিতীয় সম্বাদ (১৮১৮)
১৪. ঈশোপনিষদ (১৮১৬)
১৫. ভট্টাচার্যের সহিত বিচার (১৮১৭)
১৬. কতোপনিশদ (১৮১৭)
১৭.তলবকার উপনিষদ (১৮১৬)
১৮. গায়েত্রীর অর্থ (১৮১৮)
১৯. চারি প্রশ্নের উত্তর (১৮২২)
২০. প্রার্থনা পত্র (১৮২৩)
২১. পাদরি ও শিষ্য সম্বাদ (১৮২৩)
২২. কায়স্থের সহিত মদ্যপান বিষয়ক বিচার (১৮২৬)
২৩. ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের লক্ষণ (১৮২৬)
২৪. বজ্রসূচী (১৮২৭)
২৫. ব্রাহ্মোপাসনা (১৮২৮)
২৬. গায়ত্র্যা ব্রহ্মোপাসনাবিধানং (১৮২৭)
২৭. সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর সহিত বিচার (১৮২০)
২৮. আত্মানাত্মবিবেক (১৮১৯)
২৯. মুণ্ডকোপনিষদ (১৮১৮)
৩০. মাণ্ডূক্যোপনিষদ (১৮১৭)
৩১. অনুষ্ঠান (১৮২৯
রাজা রামমোহন রায় ও সমসাময়িক সংবাদপত্র
১৮২১ সালে রাজা রামমোহন রায় ও ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্বাদ কৌমুদী শীর্ষক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন । পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত এই পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল । মূলত সামাজিক ও হিন্দু ধর্মীয় রক্ষনশীলতার বিরুদ্ধে উদার মনোভাব নিয়ে এই পত্রিকাটি লেখনি ধারণ করেছিল। তদানীন্তন হিন্দু সমাজের কুসংস্কারগুলো দূর করে সংস্কারমূলক ভাবনার ক্ষেত্রে জনমত গঠন করতে এই পত্রিকা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু রামমোহনের হিন্দু ধর্ম ও সমাজ সম্বন্ধে অতিশয় আধুনিক ও প্রগতিশীল মতের সঙ্গে কিছু রক্ষণশীল স্বভাব ভবানীচরণ তাল মিলিয়ে চলতে না পারার জন্য দুজনের মধ্যে মতভেদ হয়ে গেল ফলে ভবানীচরণ রামমোহনের সঙ্গ এবং সংবাদ কৌমুদী এর সংস্পর্শ ত্যাগ করে ১৮২২ সালে সমাচার চন্দ্রিকা নামে সুপ্রসিদ্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করলেন ।  কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাস নিয়ে লেখা সম্বাদ কৌমুদীতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এর অংশবিশেষ —
"রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথমত এই উৎসবে বড় জাঁকজমক করেন এবং তাঁহার ঐ ব্যাপার দেখিয়া ক্রমে ক্রমে ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের আমলে যাঁহারা ধনশালী হইলেন তাঁহারা…এই সকল ব্যাপারে অধিক টাকা ব্যয় করিতেন।”
পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সরকার সংবাদপত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে রাজা রামমোহন রায় এই পত্রিকাটি প্রকাশ করা বন্ধ করে দেন। রাজা রামমোহন রায় ১৮২২ সালে" মিরাত উল আখবার "নামে একটি ফরাসি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।
১৮২৩ সালে গভর্নর জেনারেল জন অ্যাডাম যখন ভারতীয় সংবাদপত্রের উপর বিধি নিষেধ  জারি করেন, তখন রামমোহন রায় ও তার বন্ধুরা প্রিভি কাউন্সিলে স্মারক পত্র দাখিল করে এর বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করেন। স্মারকলিপিটি এ যুক্তিতে প্রত্যাখ্যান করা হয় যে, যে দেশ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করে না সে দেশের প্রেসের স্বাধীনতা থাকতে পারে না।
বিলেত ভ্রমণ এবং শেষ জীবন
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাকে "রাজা" উপাধিতে ভূষিত করেন এবং তার পক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য তাকে ইংল্যান্ডে পাঠান।  ১৮৩০ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি কলকাতা থেকে বিলেতে যাত্রা করেন। বিলেত যাওয়ার ব্যাপারে তাকে আর্থিক সহায়তা দান করেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে কিছুদিনের জন্য তিনি ফ্রান্সেও গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আধুনিক ভারতের সমাজ সংস্কারের অন্যতম পথিকৃৎ।  রামমোহন রায় ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন, তিনি ফ্রান্সও পরিদর্শন করেছিলেন। ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিস্টলের কাছে স্টেপল্‌টনে মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিস্টলে আর্নস ভ্যাল সমাধিস্থলে তাকে কবর দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে মধ্য ব্রিস্টলে তার একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।
এইচ. পি. ব্রিগস দ্বারা আঁকা রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিকৃতি – ব্রিস্টল যাদুঘরে সংরক্ষিত  হয়েছে।
প্রবন্ধ: রাজর্ষি মোহান্ত
তথ্যসূত্র:
১. উইকিপিডিয়া
২. বাংলা পিডিয়া
৩. বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
(প্রকাশের তারিখ: ০৭.০৫.২০২১)
There are no reviews yet.
0
0
0
0
0

Website Developed by:

DR. BISHWAJIT BHATTACHARJEE
Assistant Prof. & Former Head
Dept. of Bengali, Karimganj College
Karimganj, Assam, India, 788710

+917002548380

bishwa941984@gmail.com
Important Links:
Back to content