E-Learning Info
Go to content

                                                             সমাস

সমাস
পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমন: রাজার পুত্র-রাজপুত্র
রাজা ও পুত্র দুটি পদ মিলে এখানে একপদে পরিণত হয়েছে।
সমস্ত পদ
সমাসবদ্ধ পদকে অর্থাৎ বিভিন্ন পদ যখন একপদে পরিণত হয় তখন তাকে সমস্ত পদ বলে। যেমন: রাজার পুত্র- রাজপুত্র, এখানে রাজপুত্র সমস্ত পদ।
বিগ্রহ বা ব্যাসবাক্য
সমাসবদ্ধ পদ কিভাবে গঠিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখাতে গিয়ে যে বাক্য বা বাক্যাংশ পাওয়া যায় তাকে বিগ্রহবাক্য বা ব্যাসবাক্য বলে। যেমন: রাজার পুত্র- রাজপুত্র, এখানে রাজার পুত্র বিগ্রহ বা ব্যাসবাক্য।
সমস্যমান পদ
যে দুটি বা দুটির অধিক পদ মিলে সমাস গঠন করে তাকে সমস্যমান পদ বলে। যেমন: রাজার পুত্র- রাজপুত্র, এখানে রাজা ও পুত্র দুটি সমস্যমান পদ।
পূর্বপদ
সমাসবদ্ধ পদের প্রথম পদটির নাম পূর্বপদ। যেমন: রাজার পুত্র- রাজপুত্র, এখানে রাজার পদটি পূর্বপদ।
উত্তরপদ
সমাসবদ্ধ পদের শেষের পদটির নাম উত্তরপদ। যেমন: রাজার পুত্র- রাজপুত্র, এখানে পুত্র পদটি উত্তরপদ।
সমাসের বিভাগ
সমাস ৬ প্রকার
১. দ্বন্দ্ব সমাস
যে সমাসে পূর্বপদ ও উত্তরপদ উভয়ের সমান অর্থ প্রাধান্য থাকে এবং একটি সংযোজক অব্যয়ের দ্বারা পরস্পরযুক্ত হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- মাতা ও পিতা= মাতাপিতা, জয় ও পরাজয়= জয়পরাজয়, রবি ও শশী= রবিশশী।
২. তৎপুরুষ সমাস
যে সমাসের পুর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো একটি বিভক্তি যুক্ত থাকে এবং সমাসবদ্ধ হওয়ার পর উত্তরপদের অর্থ প্রাধান্য লাভ করে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন- সাহায্যকে প্রাপ্ত= সাহায্যপ্রাপ্ত।
৩. অব্যয়ীভাব সমাস
যে সমাসে একটি পদ অব্যয় এবং সমাসবদ্ধ হওয়ার পর অব্যয়টির অর্থই প্রধান হয়ে দাঁড়ায় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। সামীপ্য, সাদৃশ্য, অভাব, অনতিক্রম, পর্যন্ত, বপ্সা, যোগ্যতা, প্রভৃতি অর্থজ্ঞাপক অব্যয়যোগে অব্যয়ীভাব সমাস গঠিত হয়। যেমন- গৃহে গৃহে= প্রতিগৃহে।
অব্যয় দুই ধরনের হয়- সংযোজক অব্যয় এবং অর্থজ্ঞাপক অব্যয়। সংযোজক অব্যয়- ও, এবং। অর্থজ্ঞাপক অব্যয়- সামীপ্য, সাদৃশ্য, অভাব, অনতিক্রম, পর্যন্ত, বীপ্সা, যোগ্যতা, প্রভৃতি।
৪. কর্মধারয় সমাস
যে তৎপুরুষ সমাসে সমস্যমান পদ দুটি সমানাধিকরণ অর্থাৎ একই অর্থকে নির্দেশ করে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- পূর্ণ যে চন্দ্র= পূর্ণচন্দ্র, ভাল যে ছেলে= ভালোছেলে।
৫. দ্বিগু সমাস
দ্বিগু একপ্রকার তৎপুরুষ সমাস। যে তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক তাকেই দ্বিগু সমাস বলে। যেমন- শত অব্দের সমাহার- শতাব্দী।
৬. বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসের সমস্যমান পদগুলির অর্থাৎ পূর্ব বা উত্তরপদের অর্থ প্রধান না হয়ে অন্য কোনো বস্তুর অর্থ-প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন- বীণা পাণিতে যার= বীণাপাণি।

There are no reviews yet.
0
0
0
0
0

Website Developed by:

DR. BISHWAJIT BHATTACHARJEE
Assistant Prof. & Former Head
Dept. of Bengali, Karimganj College
Karimganj, Assam, India, 788710

+917002548380

bishwa941984@gmail.com
Important Links:
Back to content