ব্যক্তিনাম পদবি গ্রন্থনাম স্থাননাম
- ব্যক্তিনামের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে নাম লেখেন আধুনিক বানানবিধি অনুযায়ী তা পুনর্লিখন প্রত্যাশিত। পদবির ক্ষেত্রে পদবিধারী যদি আধুনিক বানান গ্রহণ করেন (যেমন, অমিতাভ চৌধুরি) তাঁকে মান্য করা উচিত। যাঁরা প্রচলন অনুসরণ করবেন তাঁদের বানান ও গ্ৰাহ্য। কেবল রেফের পরে দ্বিত্বের প্রয়োগ না করাই উচিত।
- ব্যাক্তিনামের সংক্ষেপিত বা খন্ডিত রুপের ক্ষেত্রে মূল তৎসম শব্দের ঈ-কার ঊ-কার রক্ষণীয়,যেমন : ধীরেনবাবু শচীনকাকা ভূপেনদা রূপেন রবীন ফণীকাকা শশীবাবু ইত্যাদি। অন্য বিদেশী নামের বাংলা বানানে অবশ্য ই-কার ব্যবহার্য Robin রবিন, Shelley শেলি। তবে অর্ধতৎসম বা খন্ডিত নামের ক্ষেত্রে ণত্ববিধি অবাঞ্ছিত। যেমন বরেন, বারীন।
- সুপরিচিত বা প্রাচীন গ্রন্থনামে মূল বানান মান্য। অর্থাৎ "পথের পাঁচালী'-কে "পথের পাঁচালি' বা "রাজা ও রানি' লেখা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে গ্ৰন্থনামের সংরক্ষিত এলাকার বাইরে শব্দগুলি সাধারণভাবে ব্যবহৃত হলে অ-তৎসম শব্দের বানান-সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেমন, পরিচিত গ্ৰন্থনামে "কাহিনী', "পূরবী', "রূপসী' (বাংলা), (পথের) "পাঁচালী' রক্ষণীয়। কিন্তু সাধারণ ক্ষেত্রে শব্দগুলির ব্যবহার্য বানান হবে কাহিনি পাঁচালি পুরবি রানি রূপসি ইত্যাদি।
- বাঙালিদের পদবির ইংরেজি ধরনের বানানে — ব্যানার্জি, চ্যাটার্জি, গাঙ্গুলি ইত্যাদিতে হ্রস্ব ই-কার দিতে হবে, দীর্ঘ ঈ-কার নয়।
- অ-তৎসম শব্দের বানান পরিবর্তনের সূত্রে স্থাননামের বানানেও কিছু কিছু পরিবর্তন ঘটছে। নদীয়া>নদিয়া, নৈহাটী>নৈহাটি, দীঘা>দিঘা, মেমারী>মেমারি, রাণাঘাট>রানাঘাট। এই প্রবণতা সংগত ও মান্য।