উদ্ধৃতি চিহ্ন-এর ব্যবহার
রচনার মধ্যে গ্রন্থ, পত্রিকা, নথি, ইত্যাদির নাম দুপাশে একটি করে ঊর্ধ্বকমার মধ্যে দেওয়া যায়। ছাপায় কেউ কেউ বিকল্পে ইটালিকস ও পছন্দ করেন। যেমন: "গীতবিতান', গীতবিতান।
উদ্ধৃত অংশ দুটি ঊর্ধ্বকমার মধ্যে ("" ''), আবার তার মধ্যে উদ্ধৃত অংশে একটি করে ঊর্ধ্ব কমা ("" " ' '') ব্যবহার করা যেতে পারে। অবশ্য এর উল্টোটা ও হতে দেখা যায়। অর্থাৎ মূল উদ্ধৃত একটি ঊর্ধ্ব কমার মধ্যে (" '), আবার তার মধ্যে উদ্ধৃত অংশ দুটি করে ঊর্ধ্ব কমার মধ্যে (" "" '' ') । দু টি রীতি ই গ্রাহ্য। তবে বাংলা বানানবিধি প্রথম রীতিটিরই পক্ষপাতী।
গ্রন্থ নামের সঙ্গে সম্বন্ধ ও অন্যান্য বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার এর প্রয়োজনে চিহ্ন টির পূর্বে হাইফেন ব্যবহার করা সংগত। যেমন "গীতাঞ্জলি'-র কবি, "বিসর্জন'-এর (বিসর্জনে'র নয় ) নাট্যকার।
যতি চিহ্ন উদ্ধৃত চিহ্ন সংক্রান্ত সূত্র গুলি ভাষা ব্যবহারে বা লিখন ব্যাপারে বাধ্যতামূলক মনে করার কারণ নেই। কেবল বানানের ভাষায় মান্যতাদানের প্রয়োজনে এবং সর্বাঙ্গীন সৌষ্ঠব ও শৃঙ্খলা - প্রবর্তনের উদ্দেশ্যেই এগুলি ক্রমশ সর্বজন গ্রাহ্য হবে ও ব্যবহার গৌরব অর্জন করবে। বানানবিধির পক্ষ থেকে এইমাত্র প্রত্যাশা।
সূত্রে ক্রিয়াপদের কোন কোন ক্ষেত্রে ঊর্ধ্ব কমা প্রয়োগ নিষ্প্রয়োজন, তা নির্দেশিত হয়েছে। এছাড়া লুপ্তম্বর বোঝাতে বা অনুরূপ প্রয়োগে অভ্যাস বশত ঊর্ধ্ব কমা ব্যবহৃত হয়। ঊর্ধ্ব কমার বদলে সেগুলি এভাবে লেখা সংগত।
দু'দুটো বছর> দু-দুটো বছর।
দুশ' তিনশ'> দুশো-তিনশো।