ঙ এবং ং (অনুস্বার) এর ব্যবহারের নিয়ম
তৎসম শব্দে সংস্কৃত ব্যকরণমতে সন্ধি-পরিণামে শব্দের পূর্বপদের শেষ বর্ণ ম্ হলে, পরবর্তি বর্ণ ঙ্ এবং ং উভয়ই শুদ্ধ। অর্থাৎ-
অলম+কার> অলঙ্কার/অলংকার
অহম+কার> অহঙ্কার/অহংকার
ভয়ম+কর> ভয়ঙ্কর/ভয়ংকর
শম্+কর> শঙ্কর/শংকর
শুভম+কর>শুভঙ্কর/শুভংকর
সম্+কর>সঙ্কর, সংকর
সম্+গত>সঙ্গত, সংগত
সম্+গীত> সঙ্গীত, সংগীত
এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ং-যুক্ত বানান ব্যবহারই বাঞ্ছনীয়।
কিন্তু যে সব শব্দে ম-এর সন্ধি পরিণাম হিসেবে ং আসেনি, সেখানে ং ব্যবহার অশুদ্ধ, তাই সম্পূর্ণরূপে পরিহার্য। সুতরাং অঙ্ক কখনোই অংক নয়। তাই বংগ নয় বঙ্গ, শংকা নয়, শঙ্কা, সংগে নয় সঙ্গে লেখাই বিধেয়। অনুরূপ শুদ্ধ বানান-
অঙ্কুশ, আকাঙ্ক্ষা, আতঙ্ক, কঙ্কাল, পঙ্ক, ভঙ্গ, রঙ্গ, সঙ্গ
সম+গীত সংগীত হলেও সম্+বোধন কিন্তু সংবোধন নয়। ম্ এর পরে বর্গীয় ব থাকলে তা ম-ই থাকবে, ং হবে না, ম্ এর পরে অন্তঃস্থ ব থাকলে তবেই সেটা ং হবে। তাই কিংবদন্তী কিংবা প্রিয়ংবদা, সংবর্ধনা, সংবাদ ইত্যাদি, কিন্তু সম্বন্ধ, সম্বুদ্ধ, সম্বোধন ইত্যাদি।