E-Learning Info
Go to content
জগদীশচন্দ্র গুপ্ত (১৮৮৬-১৯৫৭)
জন্ম:
জগদীশ গুপ্ত বা জগদীশ সেন গুপ্তের জন্ম ৫ জুলাই ১৮৮৬ সালে আমলা পাড়ার কুষ্টিয়ায় (বর্তমান বাংলাদেশ)। পিতার নাম কৈলাশচন্দ্র গুপ্ত।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
১৯০৫ সালে তিনি কলকাতা সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং এফ.এ পাস করেন ১৯০৭ সালে। তিনি শর্টহ্যান্ড ও টাইপ রাইটিং জানতেন। সে সময়ের বিখ্যাত কমার্শিয়াল থেকে শর্টহ্যান্ড ও টাইপ রাইটিং এর শিক্ষা তিনি নিয়েছিলেন। প্রথম জীবনে ১৯০৮ সালে তিনি টাইপিস্টের চাকরি করেন। পরবর্তিতে তিনি কলকাতায় একটি জাগো'স ইঙ্ক নামে ফাউন্টেনপেনের কালি তৈরির একটি কারখানা খোলেন কিন্তু ততোটা উন্নতি করতে পারেন নি বলে ১৯২৭ সালে আবার বোলপুরের চৌকি আদালতে
সাহিত্যিক জগদীশচন্দ্র
কল্লোল উত্তর বাংলা কথা সাহিত্যের একজন অন্যতম কথাসাহত্যিক জগদীশচন্দ্র গুপ্ত। তিনি তাঁর সাহিত্যে প্রাচীনতাকে ত্যাগ করে এক নতুন ভাবনা চিন্তার জন্ম দিয়েছেন। তাঁর রচনায় এসেছে ধারালো তীক্ষ্ণতা যা প্রচলিত ভাবকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রবল আক্রমণে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। বিনা যাচাইয়ে তিনি তাঁর রচনায় কোনো কিছুকি তুলে আনেননি।প্রচলিত মূল্যবোধের আস্থার অভাব, মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তি তাঁর রচনাকে অনন্যমাত্রা দিয়েছে। তিনি মূলত কথাসাহিত্যিক হলেও সাহিত্য জীবনের শুরুতে কবিতা লিখেছেন ও একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছেন। তাঁর লেখা তখনকার বিখ্যাত পত্রিকা "বিজলী', "কালীকলম', "কল্লোল' প্রভৃতিতে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলা কথা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবর্তক তিনি। তাঁর প্রথম ছোটগল্প "পেয়িং গেস্ট' প্রকাশিত হয়েছিল সাপ্তাহিক "বিজলী' পত্রিকায়। ১৯৩১ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস "লঘুগুরু' প্রকাশিত হয়।
ধার করা "রিয়েলিসম' নয়, সত্যিকারের বাস্তবতা যাকে বলে তাই উঠে আসে তাঁর সাহিত্যে। সাহিত্যে তাঁর এই বাস্তবতা সমকালীন প্রেক্ষাপট থেকেই উঠে এসেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি অর্থনৈতিক সংশয়, সংকট, বৈষম্য, দারিদ্র্য তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং দেখেছিলেন মানবজীবনের নানা অবক্ষয়। সেই সময়ের প্রেক্ষিতে তাঁর মন তখন অন্যভাবে ভাবতে শুরু করেছিল, সবার মতো তিনি গড্ডলীকাপ্রবাহে ভেসে যেতে পারেননি। কঠোর বাস্তব জীবন তাই তাঁর সাহিত্যে উঠে এসেছে। তাঁর প্রথম উপন্যাস "লঘুগুর'র উত্তম চরিত্রের মধ্যে সেই দিকটি লক্ষ করা যায়। এই উপন্যাসটি পাঁচটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। "অসাধু সিদ্ধার্থ' উপন্যাসের নায়ক নটবর, "গতিহারা জাহ্নবী' উপন্যাসের নায়িকা কিশোরী প্রভৃতি চরিত্রে উঠে এসেছে ভাগ্যহীন জীবনের হতাশা, বেদনা, ব্যর্থতা ও অসহায়তার কাহিনি।
কথাসাহিত্যে তিনি রিয়ালিজমের শিল্পী নন, ন্যাচারিলজমের শিল্পী। প্রায় অর্ধশত গল্প লিখলেও তিনি কিন্তু গল্পকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। তাঁর বিখ্যাত গল্পের মধ্যে "পয়োমুখম', "আমি ও দেবরাজের স্ত্রী', "পুরাতন ভৃত্য', "পৃষ্ঠে শরলেখা' প্রভৃতি অন্যতম। আমরা তাঁর গল্পে প্রেমের স্নিগ্ধ মধুর রূপ খুঁজে পাই না। তাঁর গল্পের পাত্র-পাত্রী মূলত নীচুতলার মানুষ। রোমান্টিক উচ্ছ্বাস তাঁর গল্পে নেই।
উপন্যাস:
জগদীশ গুপ্তের উপন্যাসের সংখ্যা আঠারো।
লঘুগুরু (১৯৩১)      অসাধু সিদ্ধার্ত
দুলালের দোলা        চৌধুরানী
নন্দ আর কৃষ্ণা         নিষিধের পটভূমিকায়
সুতিনী                   রতি ও বিরতি
গতিহারা জাহ্নবী       রোমন্থন
তাতল সৈকতে
ছোটগল্প:
তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা নয়টি।
বিনোদিনী (১৩৩৪), রূপের বাহিরে (১৩৩৬)
শ্রীমতী (১৩৩৭),      উদয়লেখা (১৩৩৯)
উপায়ন (১৩৪১),      পাইক শ্রী মিহির প্রামাণিক (১৩৪১)
শশাঙ্ক কবিরাজের স্ত্রী (১৩৪২), তৃষিত সৃক্কনী (১৩৪৯)
মেঘাবৃত অশনি (১৩৫৪)।
তাঁর প্রথম মৌলিক গল্প প্রকাশিত হয় "বিজলী' পত্রিকায় ১৩৩১ সালে।
নিবন্ধ: বেদপ্রিয়া দাস পুরকায়স্থ
তথ্যসূত্র:
বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত, ড. অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. দেবেশ কুমার আচার্য্য
(প্রকাশিত: ১৩.০৫.২০২১)
There are no reviews yet.
0
0
0
0
0

Website Developed by:

DR. BISHWAJIT BHATTACHARJEE
Assistant Prof. & Former Head
Dept. of Bengali, Karimganj College
Karimganj, Assam, India, 788710

+917002548380

bishwa941984@gmail.com
Important Links:
Back to content